খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়ল এক বছর

 



খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়ল এক বছর

বাসে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা ও মানহানির অভিযোগে করা পৃথক পাঁচ মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়েছেন আদালত।


জামিনের মেয়াদ বাড়াতে খালেদা জিয়ার করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের পৃথক দুটি বেঞ্চ এই আদেশ দেন।


পাঁচ মামলার মধ্যে মানহানির চারটি। এই চার মামলায় আজ এক বছরের জন্য খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়।


বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার মামলায় সোমবার খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ এক বছরের জন্য বাড়ানো হয়।


আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এ এইচ এম কামরুজ্জামান মামুন, শামীমা সুলতানা দীপ্তি ও রোকনুজ্জামান সুজা।


কায়সার কামাল জানান, মানহানির অভিযোগে ঢাকায় তিনটি ও নড়াইলে করা এক মামলায় বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়েছেন।



অন্যদিকে, নাশকতার অভিযোগে কুমিল্লায় করা এক মামলায় বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জামিনের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে মানহানির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ঢাকায় তিনটি ও নড়াইলে একটি মামলা হয়। পৃথক মামলায় জামিন চেয়ে তিনি ২০১৮ সালে হাইকোর্ট আবেদন করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছর হাইকোর্ট রুল দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। আর বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার অভিযোগে ২০১৫ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এই মামলায় ২০১৯ সালে হাইকোর্ট থেকে খালেদা জিয়া জামিন পান। পরে পৃথক পাঁচ মামলায় জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।



২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।


এরপর কারান্তরীণ অবস্থায়ই ২০১৮ সালের ৬ অক্টোবর ও ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা শেষে তাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়।


 এভাবে কয়েক দফায় তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এবং হাসপাতাল থেকে কারাগারে নেওয়া হয়। তবে এরই মাঝে দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করলে খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে তার পরিবার সরকারের কাছে আবেদন জানায়। পরে চার দফায় খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত রাখে সরকার। বর্তমানে রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় থাকছেন খালেদা জিয়া।

Bangla News Global

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

نموذج الاتصال