টি-২০ বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় জয়ে সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশ।

 

সুপার টুয়েলভ-এর সমীকরণ মেলাতে আগে চাই পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে জয়, সঙ্গে ব্যবধানও। পরের ম্যাচে স্কটল্যান্ড-ওমানের ম্যাচের ফল-এর আগে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে এই পরীক্ষাটাই ছিল বাংলাদেশ দলের।


সে পরীক্ষাটা ভালোই দিয়েছে বাংলাদেশ দল। এর আগে, টি-২০ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ স্কোর (১৮০/২) এবং সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয় (৫৪ রান) দুটোই ছিল ওমানের বিপক্ষে ধর্মশালায়। ২০১৬ বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে নিজেদের সেই সেরা রেকর্ড ছাপিয়ে নতুন রেকর্ড মাস্কটে বৃহস্পতিবার করেছে বাংলাদেশ।


টি-২০ বিশ্বকাপে এদিন নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোরের (১৮১/৭) রেকর্ডকে সর্বোচ্চ ব্যবধানে (৮৪ রান) জয় উদযাপনে সুপার টুয়েলভে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। 'বি' গ্রুপে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে নেট রান রেটে (+১.৭৩) সবার উপরে উঠে গেছে বাংলাদেশ।


স্বাগতিক ওমানের বিপক্ষে অল রাউন্ড পারফরমেন্সে নিজেকে চেনানো সাকিব (৪২ ও ৩/২৮) এই ম্যাচেও ম্যাচ উইনার (৪৬ রান ও ৪/৯)। গত ম্যাচে ৪ নম্বরে ব্যাট করে ১৪৪.৮২ স্ট্রাইক রেটে করেছেন সাকিব ২৯ বলে ৪২। এই ম্যাচে তিন নম্বরে ফিরে সাকিব হাফ সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলেন। শুরু থেকে ব্যাটিংয়ে ছিলেন অ্যাগ্রেসিভ।


স্কটল্যান্ড-ওমানের পরের ম্যাচটির কথা মাথায় রেখে তাই টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। পাপুয়া নিউ গিনিকে রান পাহাড়ে চাপা দেয়াটাই ছিল মাহমুদউল্লাহদের লক্ষ্য। সে লক্ষ্যটা পূরণ করেছে বাংলাদেশ। টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ডটা ছিল এর আগে ১৮০/২। ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপে ওমানের বিপক্ষে ধর্মশালায় সেই স্কোর টপকে বৃহস্পতিবার মাস্কটে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে বাংলাদেশ করেছে ১৮১/৯।


পাপুয়া নিউ গিনিকে ১৮২ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বড় ব্যবধানে জয়ে এদিন অবদান রেখেছেন সাইফউদ্দিন (৪-০-২১-২), তাসকিন (৩.৩-১-১২-২) এবং সাকিব (৪-০-৯-৪)। ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে এই ত্রয়ীর আঘাতে ব্যাকফুটে নেমেছে পাপুয়া নিউ গিনি (১৭/৪)। সেখান থেকে আর ফিরতে পারেনি। নাইম শেখ-এর দুটি দর্শনীয় ক্যাচে পাপুয়া নিউ গিনিকে ১০০-এর নিচে আটকে রাখা গেছে। ৯৭ রানে অল আউট করেছে বাংলাদেশ। যে ইনিংসে ঢাল-তলোয়ারহীন ব্যাটার দরিগা করেছেন ৩৪ বলে ৪৬*।

টি-২০ বিশ্বকাপ ইতিহাসে টানা দুই জয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ সাকিব। এমন রেকর্ডটাও বিরল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

نموذج الاتصال