বিশ্বকাপের উদ্দেশ্যে আজ ওমান যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল.

 

রাত পৌনে ১১টা নাগাদ দেশ ছাড়ার কথা রয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাহিনীর।


আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে পা রাখতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপ খেলতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বে আজই দেশ ছাড়বে টাইগাররা। ওমানে এক দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষে টানা চার দিন অনুশীলন করবে বাংলাদেশ দল। তারপরই বিশ্বকাপের কার্যক্রমে প্রবেশ করবেন মুশফিক-লিটনরা।



টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে আজ ৩ অক্টোবর (রোববার) ওমানের উদ্দেশে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। রাত পৌনে ১১টা নাগাদ দেশ ছাড়ার কথা রয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাহিনীর।


এর আগে, গতকাল ২ অক্টোবর (শনিবার) করোনা পরীক্ষার নমুনা জমা দিয়েছেন দলের ক্রিকেটাররা।





করোনার নমুনা দেওয়ার পর প্রত্যেকেই নিজ নিজ বাসায় চলে যান। সেখানেই চলবে হোম কোয়ারেন্টাইন। এরপর শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে ওমানের উদ্দেশে যাত্রা করবেন তারা। অন্যদিকে সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ খেলতে ব্যস্ত বিধায় তাদের করোনা পরীক্ষা সম্ভব হয়নি। তবে দুজনেই জৈব সুরক্ষাবলয়ে থাকায় একসঙ্গেই দলে যোগ দেবেন।


কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বিশ্বকাপের ১৪ দিন আগে ওমান যাচ্ছে টিম টাইগার্স। ওমানে পৌঁছানোর পর এক দিন রুম কোয়ারেন্টাইনের পর আগামী ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হবে দলের অনুশীলন। ওমানে একটানা চার দিনের অনুশীলনের পর ৮ অক্টোবর ওমান ‘এ’ দলের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে ডমিঙ্গোর শিষ্যরা। এরপর ৯ অক্টোবর সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবে বাংলাদেশ দল। সেখানেও একদিনের রুম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। ১১ অক্টোবর থেকে পুনরায় শুরু হবে অনুশীলন।


এরপর আবুধাবিতে ১২ ও ১৪ অক্টোবর শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা বাংলাদেশের। ১৭ অক্টোবর শুরু বিশ্বকাপ বাছাই মিশন। সুপার-টোয়েলভে খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রথম রাউন্ডে স্কটল্যান্ড, ওমান আর পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে লড়তে হবে বাংলাদেশকে।


উল্লেখ্য, টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরে বাংলাদেশকে ‌’ডার্ক হর্স‌’ বলছে উইজডেন। সম্প্রতি এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে এমনটাই দাবি করেছে জনপ্রিয় এই সংবাদমাধ্যমটি। তবে বাংলাদেশকে ‌’ডার্ক হর্স’ বলার পেছনে কয়েকটি কারণও উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।



আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু সংযুক্ত আরব আমিরাতেই চলমান আইপিএল খেলছেন সাকিব আল হাসান এবং মুস্তাফিজুর রহমান। তাই তাদের করোনা টেস্টের কোনো সুযোগ নেই। তবে যেহেতু দুজনই আইপিল জৈব সুরক্ষাবলয়ের মধ্যে আছেন, তাই তারা সরাসরি মাস্কাটে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারবেন বলে জানা গেছে।



বাংলাদেশ এখনো কাগজে-কলমে টি-টোয়েন্টি ফরমেটে অন্যদের মতো শক্তিশালী দল নয়। তবে সাম্প্রতিক পারফরমেন্স বেশ আশা জাগানিয়া। জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে শুরু করে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করে টিম বাংলাদেশ। টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজে জয় পেয়েছে টাইগাররা।



অভিজ্ঞ এ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘আগেরবার বিশ্বকাপে যে পারফরম্যান্স করেছি, তার চেয়ে এবার যেন আরও বেশি ভালো পারফর্ম করতে পারি দলের জয়ে অবদান আরও বেশি রাখতে পারি।’ যদিও ২০১৬ বিশ্বকাপে তিক্ত স্মৃতি আছে মুশফিকের। ব্যাঙ্গালোরে ম্যাচের অন্তিমে তার ও মাহমুদউল্লাহর ভুলে হারের হতাশায় ডুবেছিল বাংলাদেশ।


এদিকে, দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমও আশাবাদী সর্বশেষ টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় দলকে আত্মবিশ্বাস জোগাবে। ধারাবাহিকতা থাকলে বড় কিছুর আশা করছেন তিনি। মুশফিক বলেছেন, ‘আমরা সর্বশেষ সিরিজগুলোতে দল হিসেবে ভালো করেছি । সেটি যদি ধরে রাখতে পারি আমরা অনেকদূর যাব।’ ব্যক্তিগতভাবে ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজের সেরাটা দিতে চান মুশফিক।


Bangla News Source



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

نموذج الاتصال