ঢাকায় বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
উচ্চ পর্যায়ের সৌদি প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন বাংলাদেশকে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে রাজধানীতে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন-২০২১ উদ্বোধন করেছেন।
তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ‘রেডিসন ব্লু’ হোটেলে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকায় বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সম্মেলনে সৌদি আরবের পরিবহন মন্ত্রী ইন্জিনিয়ার সালেহ নাসের আবদুল্লাহ আল জাসের, সৌদি বন্দর কর্তৃপক্ষ্ এর প্রেসিডেন্ট মি: ওমর হারিরি, সৌদি বিনিয়োগ মন্ত্রনালয়ের জাতীয় কোম্পানি উন্নয়ন প্রোগ্রাম এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বদর ইব্রহিম আল বদর, সৌদি পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব ড. মানসূর আল-তুর্কী , মিজ রায়া আল আসকার, পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের চেয়ারম্যান মি. আলী বিন ইব্রাহিম আল বুলুশি সহ ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নিচ্ছেন।
সৌদি আরবের নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়া দূতাবাসের ইকনমিক কাউন্সেলর মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান ও সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেন, ‘বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন বাংলাদেশকে তুলে ধরাই এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য’।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির নতুন মুখ এখনও বিশ্বের অনেকের কাছেই অজানা এবং বিনিয়োগ প্রচার কর্মসূচি তাদের অর্থনীতি এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ সম্পর্কে জানতে সাহায্য করছে।
বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রায় ২,৫৭৪ জন ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সামিট ২০২১-এ অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে কমপক্ষে ৪৬৫ জন বিদেশী রয়েছেন। তারা তাদের দেশ বা আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সংস্থাগুলির প্রতিনিধিত্ব করছেন।
তিনি বলেন, অংশগ্রহণকারীরা মহামারীর কারণে শারীরিক বা ভার্চুয়াল উভয়ই ভাবেই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।
‘বাংলাদেশ: ডিসকভার লিমিটলেস অপারচুনিটিজ’ শীর্ষক একটি ট্যাগলাইন সহ শীর্ষ সম্মেলনে ১৪টি পৃথক সেশন থাকবে, যার মধ্যে ১১টি নীল অর্থনীতি, স্বাস্থ্যসেবা এবং ওষুধ, পরিবহন এবং লজিস্টিকস, পুঁজিবাজার, শক্তি এবং জ্বালানি, আর্থিক পরিষেবা, কৃষি ব্যবসা, চামড়া এবং চামড়াজাত পণ্য, পোশাক, বৈদ্যুতিক এবং ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনে সম্পৃক্ত থাকবে।
দেশের ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ প্রতিযোগিতা, ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতি, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল যে সুযোগগুলি তৈরি করছে তা বাংলাদেশের অর্থনীতির দুর্দান্ত উত্থানের গল্পের পাশাপাশি সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্র তৈরী করবে।