স্বর্ণ কিনার সময় আমাদের মধ্যে যে প্রশ্নটা মনে উকি দেয় স্বর্ন আসল নাকি নকল,খাটি সোনা তো?
স্বর্ণ চিনে আসল স্বর্ণ কিভাবে কিনবেন,স্বর্ণ বিভিন্ন ক্যারেটের হয়ে থাকে যেমন ২৪,২২,২১,১৮ ইত্যাদি।
কোন স্বর্ণ কোন ক্যারেটের কিভাবে বুঝবেন?
স্বর্ণ চিনার বেশ কিছু উপায় আছে যার মধ্যে অন্যতম মেশিনের মাধ্যমে ও এনালগ সিস্টেমের মাধ্যমে।
স্বর্ণের বিভিন্ন ক্যারেটের মধ্য আসল স্বর্ণ হলো ২৪ ক্যারেট।
২৪ ক্যারেট স্বর্ণ কাচা ও নরম হয় বিধায় সরাসরি ২৪ ক্যারেট দিয়ে গহনা বানানো যায় না,তাই ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের সাথে ধাতম মিলিয়ে গহনা বানাতে হয়।
গয়না তৈরির জন্য মূলত ২২ ক্যারেটের সোনা ব্যবহার করা হয়। যার মধ্যে ৯১.৬৬ শতাংশ সোনা থাকে।
সব ক্যারেটের স্বর্ণের ভিন্ন ভিন্ন হলমার্ক হয়ে থাকে,যেমন ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের সংখ্যা বা হলমার্ক ৯১৬ আর ২১ ক্যারেট স্বর্ণের সংখ্যা বা হলমার্ক হলো ৮৭৫।
১৮ ক্যারেট স্বর্ণের সংখ্যা বা হলমার্ক হলো ৭৫০।
হলমার্ক নাম্বার দিয়ে স্বর্ণের ক্যারেট নির্ধারন করা হয়,তাই স্বর্ণ কিনার সময় ভালো করে দেখে কিনতে হবে।
জুয়েলারির নীচে বা পাশে যেকোন জায়গায় হলমার্ক নাম্বার খুদাই করা থাকবে,তা দেখে বুঝে নিতে পারবেন কত ক্যারেট মানের স্বর্ণ।
আসল স্বর্ণ বুঝার উপায়
বাজারে কিছু রাসায়নিক এবং অ্যাসিড আছে যেগুলো ব্যাবহার করে সোনার গুণগত মান যাচাই করা সম্ভব।
খাটি সোনা হলে এইসব রাসায়নিকে স্বর্ণের কোন রকম বিক্রিয়া হবে না,খাটি সোনা না হলে বিক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে,সোনার রঙ পরিবর্তন হতে থাকবে।
স্বর্ণে লোহা মিক্স আছে কিনা সেটা কিভাবে জানবেন?
স্বর্ণের লোহার মিশ্রন থাকলে চুম্বক কাছে নিলে তা আকৃষ্ট করবে,চুম্বক স্পর্শ করলে লোহার মিশ্রন আছে কি নাই তা বুঝা যাবে।
আরো এক পদ্বতিতে খাটি সোনা চিনা যায়
সাদা কালারের একটা সিরামিকের প্লেট নিয়ে গহনা তার মধ্যে ঘষে দেখুন,যদি বাসনের উপর কালো দাগ পড়ে তবে স্বর্ণ আসল না,আসল হলে বাসনে সোনালি কালারের দাগ দেখা যাবে।
গহনা হাল্কা দাত দিয়ে কামড়ে ধরুন,স্বর্ণ আসল হলে দাতের হালকা দাগ পড়বে।
আরো একটা পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন
একটি পাত্র পানি নিয়ে গহনা তাতে চুবিয়ে দিন,যদি স্বর্ণ ভেসে উঠে তবে তা আসল না।