কেন্দ্র দখল আমরা করবো আমরা সরকারের প্রতিনিধি!

 

কেন্দ্র দখল আমরা করবো আমরা সরকারের প্রতিনিধি!

নোয়াখালী: নোয়াখালী সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দেলুর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।


আওয়ামী লীগের এই চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেছেন, কেন্দ্র দখল করলে আমরা করবো, জোর করে ভোট নিলে আমরা নেবো, কারণ আমরা সরকারের প্রতিনিধি! ইনশাআল্লাহ।

রোববার (৫ ডিসেম্বর) রাতে তার বক্তব্যের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।


নির্বাচনকে সামনে রেখে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দাদপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বারাহীপুর এলাকায় নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দেলু।


একই অনুষ্ঠানে নৌকার প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দেলুর কর্মী ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করে দেবো। নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করলে তাদের তালিকা আমরা কড়ায় গন্ডায় গুনবো এবং প্রশাসন তাদের ধরার জন্য সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।

স্থানীয় ভোটাররা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, জেলায় সদ্যসমাপ্ত অন্য ইউপি নির্বাচনগুলো প্রশাসনের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনায় অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। কিন্তু দাদপুরে ভোটের আগেই কেন্দ্র দখল করে জোরপূর্বক ভোট নেওয়ার ঘোষণায় বোঝা যাচ্ছে এখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যাহত হবে।

দাদপুর ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দেলু তার এমন বক্তব্যের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি অন্য সূত্র ধরে এ কথা বলেছি। ফেসবুকে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে বলে আমি জানতে পেরেছি। এটি আমার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী মিজানুর রহমান শিপনের কাজ।


আওয়ামী লীগ প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী মিজানুর রহমান শিপন বলেন, দেলোয়ার হোসেন দেলু নিজ মুখে কেন্দ্র দখলের কথা বলেছেন, যার ভিডিও ইতোমধ্যে সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে। আমি কেন ওনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করবো। শুধু এই ভিডিও নয়, নৌকার প্রার্থী ইতোমধ্যে তার সব নির্বাচনী পথসভা, শোডাউন, উঠান বৈঠকে ভোটের দিন জোরপূর্বক কেন্দ্র দখল করে ভোট ছিনিয়ে নেওয়া ও ভোটের আগে আমার কর্মীদের এলাকা ছাড়া করার ঘোষণা দিয়ে আসছেন।

শিপন আরও বলেন, চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় দেলোয়ার হোসেন দেলু অনেক অনিয়ম করেছেন। এখন আবার ভোটের দিন কেন্দ্র দখল করাসহ আমার লোকজনকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। আমি এসব বিষয়ে থানায় জিডি করে রেখেছি।

সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জুলকার নাঈম জানান, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোনো প্রার্থী যদি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে এমন ঘোষণা দেন, তাহলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট রির্টানিং কর্মকর্তা এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।


ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে আগামী ২৬ ডিসেম্বর নোয়াখালীর সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হবে। ইতোমধ্যে ইউনিয়নগুলোতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

نموذج الاتصال