রোববার (০৭ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনার ভবনের সম্প্রসারিত অংশ এবং বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জের উদ্বোধনকালে এ নির্দেশ দেন তিনি।
সফরকালীন আবাসস্থল হোটেল ক্ল্যারিজ থেকে ভার্চ্যুয়ালি এ দুই উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
কূটনৈতিকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কাজেই প্রবাসীদের যথাযথ সেবা দেওয়া, তাদের সমস্যাগুলো দেখা, তাদের দিকে নজর দেওয়া এটাও দরকার। ’
প্রবাসীদের অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ যারা প্রবাসে রয়েছেন তারা সব সময় আমাদের দেশের জন্য অবদান রেখে যাচ্ছেন। যেই দেশে থাকেন সেই দেশের এবং আমাদের বাংলাদেশ উভয় দেশেই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিরাট অবদান প্রবাসীরা রেখে যান। ’
অর্থনৈতিক কূটনীতির দিকে মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমান যুগে আসলে কূটনীতিটা শুধু রাজনৈতিক কূটনীতি না, এটা অর্থনৈতিক কূটনীতিতে পরিণত হয়েছে। ’
রপ্তানি, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ সম্প্রসারণে কাজ করার নির্দেশনা দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘একদিকে যেমন বাংলাদেশকে তুলে ধরা, বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যকে তুলে ধরার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা আমাদের রপ্তানি কীভাবে বাড়াতে পারি, বিনিয়োগ কীভাবে বাড়াতে পারি, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি কীভাবে হতে পারে, দেশের মানুষ কীভাবে ভালো থাকতে পারে সে বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। ’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে এককভাবে কেউ এগিয়ে গিয়ে উন্নতি করতে পারে না। এখন সম্মিলিত একটা প্রচেষ্টাও দরকার। সেদিকে লক্ষ্য রেখে প্রত্যেকটা কূটনৈতিক মিশনের বিরাট দায়িত্ব রয়েছে। ’
লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।
Source Bangla News