পাবজি খেলায় বাধা দেওয়ায় মা-বোন-ভাইকে খুন।

 

পাবজি খেলায় বাধা দেওয়ায় মা-বোন-ভাইকে খুন।

সারাদিন পাবজি খেলায় ১৪ বছরের ছেলেকে বকাবকি করেন তার মা। তাতেই মাথা গরম হয়ে যায় জাইন আলি নামে ওই কিশোরের। বাড়ির তাকে থাকা বন্দুক এনে একে এক মা, দুই বোন ও ছোট ভাইকে গুলি করে হত্যা করে সে। পরে রক্তমাখা পোশাক ও বন্দুকটি ফেলে দেয় বাড়ির পাশের নর্দমায়।

ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের লাহোরের কাহনা এলাকায়।

 তবে হত্যাকাণ্ডের পর ওই কিশোর প্রথমে নিজে গুলি করে মা, বোন ও ভাইকে হত্যার কথা অস্বীকার করে। সে জানায়, আততায়ী বাড়িতে ঢুকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে চারজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর ফোর মার্ডারের রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে লাহোর পুলিশ। ওই বাড়িতে বেঁচে থাকা একমাত্র কিশোরকে প্রথম থেকেই সন্দেহ করে পুলিশ।



প্রথম জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোর পুলিশকে জানায়, ঘটনার সময় সে বাড়ির দোতলায় ছিল। তখন এক আততায়ী এসে সবাইকে খুন করে। সে ভয়ে দোতলায় লুকিয়ে যায়। এজন্য সে বেঁচে গেছে।

একপর্যায়ে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে মা, দুই বোন ও ভাইকে হত্যার কথা স্বীকার করে ওই কিশোর। সে জানায়, পাবজি খেলায় তার মা প্রায়ই বকাবকি করতেন। ওইদিনও বকাবকি শুরু করেন। এজন্য বাড়িতে থাকা বন্দুক নিয়ে প্রথমে মা নাহিদা মুবারক (৪৫) গুলি করে হত্যা করে সে। এরপর তার বড় বোন মাহানুর ফাতেমা (১৭) ছুটে এলে তাকেও হত্যা করে। পরে ছোট বোন জান্নাত (১১) এবং ১১ মাস বয়সী ছোট ভাই তৈমুরকে হত্যা করে সে।

পুলিশ জানিয়েছে, আত্মরক্ষায় বাড়িতে বন্দুক রেখেছিলেন কিশোরের মা নাহিদা মুবারক। কিশোর সন্তানের হাতে সেই বন্দুকের গুলিতে খুন হতে হয়েছে তাকে।

এদিকে এ ঘটনায় ওই কিশোরকে গ্রেফতার দেখিয়েছে লাহোর পুলিশ। আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

কিশোর-তরুণরা পাবজি খেলায় তরুণ মনে কুপ্রভাব পড়ে। এতে উঠতি বয়সীরা ভয়ংকর হয়ে ওঠে। পাকিস্তানের এ ঘটনা তারই প্রতিচ্ছবি। ওই কিশোর যে তার পরিবারের সদস্যদের এভাবে হত্যা করতে পারে, তা কল্পনাও করতে পারছেন না প্রতিবেশীরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

نموذج الاتصال