কফিলের অনুমতি ছাড়া হুরুব ক্যান্সেল।

 

Iqama Huroob

নতুন নিয়মে কিভাবে অবৈধ প্রবাসীরা হুরুব কাটাবেন, হুরুব কেটে কিভাবে অন্য কম্পানিতে তানাজুল হবেন

সম্প্রতি কয়েকটি সৌদি সংবাদ মাধ্যম  কফিলের সম্মতি ছাড়া হুরুব ক্যান্সেলের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে। 


কোন কোম্পানি যদি নিচের চারটি অবস্থার কোন একটি অবস্থায় থাকে এবং তাদের কর্মীদের পলাতক মর্মে হুরুব দেয় তাহলে হুরুবপ্রাপ্ত ব্যক্তি হুরুবদাতা কোম্পানির সম্মতি ছাড়াই হুরুব বাতিল পূর্বক অন্য কোম্পানিতে  ট্রান্সফার হতে পারবে। অবস্থাগুলো হলো: 
  • ১) যদি কোম্পানির ফাইল লেবার অফিস হতে বাতিল করা হয় ( অর্থাৎ কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত নয় মর্মে ঘষিত হয়)। 
  • ২) যদি কোম্পানির ফাইল লেবার অফিসে নবায়নকৃত না হয়ে অন প্রসেস হিসেবে থাকে এবং তিরিশ দিন পার হওয়ার পর ও নবায়ন না করে। 
  • ৩) কোম্পানির অবস্থা যদি রেড হয় এবং কমপক্ষে ৮০% ওয়েজ প্রটেকশন সিস্টেম না মেনে চলে ( অর্থাৎ কোম্পানি রেড অবস্থায় অন্তত ৮০% কর্মিদের বেতন ভাতা যদি নিয়মিত ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশো না করে থাকে)।  
  • ৪) কোম্পানির অবস্থা যদি রেড হয় এবং কমপক্ষে ৭৫% কর্মির অনলাইন কন্ট্রাক্ট সিস্টেম না মেনে চলে ( অর্থাৎ কোম্পানি রেড অবস্থায় আছে এবং সকল কর্মী হতে অন্তত ৭৫% কর্মীর কাজের চুক্তি যদি অনলাইনে কুয়া/ গোসি প্লাটফর্ম মারফত রেজিস্ট্রি না করে থাকে)।



হুরুবদাতা কোম্পানি উল্লেখিত চারটি অবস্থার কোন একটিতে হলে হুরুবপ্রাপ্ত কর্মীকে অন্য কোম্পানি হুরুব বাতিল করে ট্রান্সফার করে নিতে পারবে। এক্ষেত্রে নতুন ট্রান্সফারকারী কোম্পানিটিকে হুরুবপ্রাপ্ত কর্মীকে  ট্রান্সফার করতে হলে চেম্বার অফ কমার্স/ গুরফা তিজারিয়া কর্তৃক মাকতাব আমলে সত্যায়িত ট্রান্সফার আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে।  আবেদনে ট্রান্সফার জনিত যাবতীয় খরচ নতুন কোম্পানি বহন করবে মর্মে অংগীকার করতে হবে, এবং কোম্পানিটি অবশ্যই ট্রান্সফারের ক্ষমতা আছে এমন কোম্পানি হতে হবে। 




শ্রম আইনের নতুন পরিবর্তন অনুযায়ী, যদি নতুন কোন মালিক উপরিউক্ত সম্পর্কিত কোন পরিস্থিতিতে পড়া হুরুবপ্রাপ্ত প্রবাসী কর্মীকে কাজে রাখতে চান, তবে তিনি উক্ত কর্মীর হুরুব বাতিল করে দিতে পারবেন এবং সৌদি আরবের চেম্বার অফ কমার্স ইন্ডাস্ট্রি এর কাছে একটি ইলেকট্রনিক চিঠি পাঠিয়ে উক্ত কর্মীর স্পন্সরশীপ নিজের প্রতিষ্ঠানের নামে ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন।


এই ছিল খবরের সারমর্ম। এই সংবাদ দ্বারা বুঝা গেল হুরুব সকল কফিল/ কোম্পানি দিতে পারবে তবে তাদের অবস্থা যদি উপরের কোন একটা হয় তাহলে হুরুবপ্রাপ্ত কর্মী নতুন কোম্পানিতে ট্রান্সফার এর মাধ্যমে নতুন কোম্পানির সহায়তায় হুরুব ক্যান্সেল করতে পারবে।

 কর্মী নিজে নিজে ক্যান্সেল করতে পারবেনা, কিংবা আগের কফিলকে হুরুব দেয়া হতে প্রতিহত করতে পারবেনা। 

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এমতাবস্থায় নতুন মালিককে উক্ত প্রবাসী কর্মীর বকেয়া থাকা সকল ফি (ইকামা ফি, ওয়ার্ক পারমিট ফি, ইত্যাদি) পরিশোধ করতে হবে।

উল্লেখ্য, কোন কর্মী কাজ থেকে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকলে কিংবা কোম্পানি হতে পালিয়ে গেলে কোম্পানি কর্তৃক কর্মী পালিয়ে গিয়েছে মর্মে যে রিপোর্ট করা হয় তাকেই হুরুব বলা হয়। বর্তমান আইন অনুযায়ী কাউকে একবার হুরুব দেয়া হলে তিনি অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং সৌদি আরব ত্যাগের পর পুনরায় আর কাজের ভিসায় সৌদি আরবে প্রবেশ করা যাবেনা। 


আরো পড়ুন :

সৌদিতে অবৈধদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দিয়েছে 

বর্তমান এই আইন অনুযায়ী নতুন নিয়োগ কর্তা বা স্পনসরকে স্থানান্তরকারী কর্মীর বকেয়া সরকারি ফি বহন করতে হবেনা

অবৈধ প্রবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দিল সৌদি ৷ শর্তসাপেক্ষে হুরূব কাটা যাবে কফিলের অনুমতি ছাড়া


Source / Saudi News Bangla

নবীনতর পূর্বতন

نموذج الاتصال