সৌদিতে মামলা খেলে করনীয় কি?

সৌদিতে মামলা খেলে করনীয় কি?

 সৌদিতে মামলা খেলে করনীয় কি?

মুতলুব মানে মামলা" আর এই মামলা ফেঁসে জীবন শেষ বহু প্রবাসীর.

সৌদিতে বেশিরভাগ প্রবাসী বিনা কারনেই মামলা খায়।

- প্রথমে কিছু পরামর্শ দিয়ে নীচে সমাধান নিয়ে আলোচনা করবো।

খেয়াল রাখবেন কারো নামে মামলা হলে সর্বপ্রথম তার সৌদি থেকে বাহিরে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

মামলা নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত দেশে যাওয়া যায় না।

- প্রবাস জীবন হোক নিরাপদ বিন মিশালের তথ্যে সেবায়.

প্রথমত বলবো বেশিরভাগ প্রবাসী মামলা খায় নিজ ভুলে।

মামলা থেকে রক্ষা পেতে যে কাজগুলো মোটেও করবেন না।

- ভুলেও কোন সাদা কাগজে ভুলেও সই কিংবা টিপ সই দিবেন না,আরবি লেখা কাগজ হলে সেটা পড়ার চেষ্টা করবেন।

না বুঝিলে google translated করবেন।

- আপনার আবশিরের কোড বা OTP ভুলে না বুঝে কাউকে দিবেন না।

- নাফাত নামের apps বর্তমান সময়ে মামলা করে কাউকে কাউকে ফাঁ*সিয়ে দেওয়ার আসল মাধ্যম।

আর্থিক লেনদেন সহ বিভিন্ন চুক্তি বর্তমানে নাফাতের মাধ্যেমে করে থাকে।

যে কেউ আপনার নাফাতের কোড নিয়ে আপনাকে ঝামেলায় ফেলতে পারবে।

Attention 

ইকামা বানাতে,ছুটি,এক্সিট,কাফালা সহ কোন ক্ষেত্রেই কফিল কোড চাইলে দিবেন না।

কফিল ইকামা,ছুটি,এক্সিট,কাফালা সহ যাবতীয় কাজ তার আবশির থেকে করে থাকে,এক্ষেত্রে এইসব কাজে আপনার কোড তার প্রয়োজন হবে না।

- বেতন দেওয়ার নামে অনেক সময় জালিয়াতি করে বিভিন্ন এগ্রিমেন্ট করে নেয়,বেতন নেওয়ার পর সই বা টিপ সই দিতে সতর্ক থাকবেন।

- যেখান সেখান থেকে সিম কার্ড কিনতে যাবেন না,বাহির থেকে একটা সিম কিনলে ১০ টা উঠার সম্ভবনা থাকে।

-নিজের আবশির সব সময় লক করে রাখবেন,ইকামার ছবি যেখানে সেখানে শেয়ার করবেন না।


 সৌদিতে মামলা খেলে করনীয় কি?

* এইবার আসুন সমাধান নিয়ে কথা বলি।

কেউ মামলা করলে প্রথমে মামলাকারী ও কেন মামলা করেছে সেটা জানার চেষ্টা করুন।

* কোন থানায় মামলা রুজু হয়েছে এবং মামলা নাম্বার আবশির ওয়েব থেকে দেখা যায়।

আবশিরে তথ্য না পেলে,najiz.sa নাফাত দিয়ে লগইন করে মামলার বিবরন দেখতে পারবেন।

না বুঝলে ভালো কোন মোয়াজ্ঞেপের সাহায্য নেওয়া উচিত।

* মামলা আছে এমন সন্দেহ থাকলে একটা মুতলুব প্রিন্ট তুলে চেক করতে পারেন।

প্রিন্ট তুলতে আমার অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন- 0595505124 || 0550893716 (১২ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত খোলা থাকে)

* যিনি মামলা করেছে শুরুতে তার সাথে সমঝোতা করা উত্তম।

সমঝোতায় মামলা শেষ করলে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় না।

* সমঝোতায় না আসলে এক্ষেত্রে  উত্তম একজন উকিলের সাহায্য নেওয়া।

উকিল যেকোন আদালতের আশেপাশে পেয়ে যাবেন,অথবা google করলে উকিলের ঠিকানা ফোন নাম্বার পেয়ে যাবেন।

* মামলা কে করেছে না বুঝতে পারলে নিকটস্থ যে কোন মাহকামা নিয়ামাতে চলে যাবেন।

সেখানে গিয়ে মামলা নাম্বার তাদের দেখালে তারা বিস্তারিত জানিয়ে দিবে।

মামলা নাম্বার না থাকলে ইকামা নাম্বার বা পাসপোর্ট নাম্বার হলেও তারা সাহায্য করবে।

যদি মাহাকামা থেকে সাহায্য না পান তবে সরাসরি উকিলের সাহায্য নেওয়া উচিত।

মামলার ধরন ও ধারা জেনে চাইলে আপনিও মামলা চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন যদি মামলার রায় না হয়ে যায়।

যদি রায় হয়ে যায় এক্ষেত্রে আপনি আপিল করার চেষ্টা করবেন,এটাও যদি সম্ভব না হয় তবে মামলাকারীর সাথে সমঝোতা একমাত্র রাস্তা।

এছাড়া যদি সম্ভব হয় দূতাবাসে গিয়ে আইন বিষয়ক সহায়কের সাথে পরামর্শ করতে পারেন।

(বিন মিশাল মক্কা থেকে)




গুরুত্বপূর্ণ তথ্য- পোস্ট ৫ (শেয়ার করেন)

জাওয়াযাত নিয়ম সৌদির বাহিরে থাকলে ভিসা পরিবর্তন হয় না।

প্রিয় প্রবাসীরা প্রশ্ন করেন দেশে থাকা অবস্থায় কি কফিল কিছু করতে পারবে?

যেমন ছুটি ক্যান্সেল করে এক্সিট করতে,এক্সিট ক্যান্সেল করে ছুটি করতে পারবে কি?

কিংবা দেশে থাকা অবস্থায় কি কফিল হুরুব কাটতে পারবে কি?

প্রশ্ন- দেশে থাকা অবস্থায় কি ছুটি ক্যান্সেল করে এক্সিট করতে পারবে কি?

উত্তর:- না? কারন জাওয়াযাত খোদ জানাচ্ছে নতুন নিয়মে দেশে থাকা অবস্থায় কারো ভিসা পরিবর্তন সম্ভব না।

মনে করেন আপনি দেশে আছেন ছুটিতে,এখন আপনার কফিল চাইলে ছুটি'কে ক্যান্সেল করে এক্সিট করতে পারবে না।

প্রশ্ন? এয়ারপোর্টে থাকা অবস্থায় পারবে কি?

উত্তর:- আপনি এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন করার আগ পর্যন্ত কফিল চাইলে ভিসা পরিবর্তন করতে পারবে,যেমন ছুটি থেকে এক্সিট অথবা এক্সিট থেকে ছুটি।

তবে যখন আপনি হাতের চাপ দিয়ে ইমিগ্রেশন শেষ করবেন এরপর আর কফি

2 মন্তব্যসমূহ

  1. ভাইয়া আমি আপনার প্রতিটা ভিডিও দেখি, আমি আপনার অফিসে বেশ কয়েকবার গিয়েছি,
    ভাইয়া আমার একটা প্রশ্নঃ- আমার কপিল আমাকে মামলা দিয়েছে ১০ বছরের, আমি জানতাম না, আপনার অফিসে যাওয়ার পরে যানতে পেরেছি, এখন কথা হচ্ছে আমি কি ভাবে দেশে যাতে পারবো, একটু যদি বলতেন তাহলে আমার অনেক উপকার হত, প্লিজ ভাইয়া দয়া করে বলেন।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি

    1. ভাই যদি আপনার ইকামার ৪/৫ বছর মেয়াদ না থাকে তাহলে এক সপ্তাহের মধ্যে আপনাকে দেশে পাঠিয়ে দিবে শোমেছি জেলখানা থেকে।
      কোন টাকা-পয়সা খরচ হবে না।
      দয়া করে আপনি আপনার স্থানীয় মক্তব আমেল এবং বাংলাদেশ দূতাবাস যান।

      মুছুন
নবীনতর পূর্বতন

نموذج الاتصال